দিন ২: শিক্ষার মাধ্যমে উন্নয়ন
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, শুভেচ্ছা! গতকাল আমরা একটি উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু করেছি। আজ আমরা আলোচনা করব—কীভাবে শিক্ষা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষা হলো উন্নয়নের ভিত্তি। একটি শিক্ষিত জাতিই সমৃদ্ধ হতে পারে।
শিক্ষার গুরুত্ব
বাংলাদেশে শিক্ষার হার বেড়েছে—প্রায় ৭৫% মানুষ এখন সাক্ষর। কিন্তু শুধু সাক্ষরতা যথেষ্ট নয়। আমাদের প্রয়োজন দক্ষতা-ভিত্তিক শিক্ষা, যা তরুণদের কাজের জন্য প্রস্তুত করবে। আজকের বিশ্বে প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, এবং উদ্যোক্তার দক্ষতা শিখতে হবে। শিক্ষা যদি আমাদের শক্তি হয়, তবে আমরা বেকারত্ব কমিয়ে অর্থনীতি শক্তিশালী করতে পারি।
কী করা দরকার?
- আধুনিক পাঠ্যক্রম: স্কুলে কোডিং, ডিজিটাল দক্ষতা, আর সমস্যা সমাধানের শিক্ষা যোগ করতে হবে।
- প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: গ্রামে ও শহরে ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তুলতে হবে।
- শিক্ষকদের উন্নতি: শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষার মান বাড়াতে হবে।
আজকের প্রস্তাব
আপনি আজ একটি ছোট কাজ করতে পারেন। আপনার এলাকার একটি শিশু বা তরুণকে একটি নতুন জিনিস শেখান—যেমন একটি শব্দ, গণিত, বা ইন্টারনেট ব্যবহার। আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
শেষ কথা
শিক্ষা আমাদের ভবিষ্যৎ। একজন শিক্ষিত মানুষ একটি পরিবারকে, একটি গ্রামকে, এমনকি একটি দেশকে বদলে দিতে পারে। আগামীকাল আমরা অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য নিয়ে কথা বলব। আপনার মতামতের অপেক্ষায় আছি। ধন্যবাদ!
লেখক এর দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি হচ্ছে -শিক্ষার মাধ্যমে উন্নয়ন। এটা সর্বজন স্বীকৃত। শিক্ষা ব্যতীত কোন জাতি উন্নতি ঘটাতে পারে না। বর্তমানে আমাদের দেশে ৭৫ % শিক্ষার হার হলেও প্রকৃত শিক্ষার অভাব দেশে বিদ্যমান।
আমরা বন্ধুরা যখন ছোটবেলায় স্কুলে পড়তাম, কলেজে পড়তাম সেই সময়কার পড়াশোনার মান এখন নেই।কারণ তখন শিক্ষক এবং ছাত্রের একটা সমন্বয় ছিল।
যদিও বর্তমানে সমস্ত কিছুই ডিজিটাল, শিক্ষার ক্ষেত্রেও ডিজিটাল। এই উন্নয়নের ব্যাপারে আমি আমার পাশের বাড়ির ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলাম, শিক্ষার মানের গুরুত্ব দিন দিন কমছে কেন? প্রতি উত্তরে বলে, স্কুলগামী বাচ্চাদের হাতে মোবাইল কখনোই দেয়া ঠিক নয়। কারণ এই প্রযুক্তি তারা ভালো দিক না নিয়ে,খারাপ দিকে চলে যাচ্ছে। আর এই শিক্ষা পরিবার থেকেই নিতে হবে। প্রযুক্তি যদি ভালো দিকে ধাবিত হয়,তাহলে উন্নয়ন ঘটানো এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আজ,এই পর্যন্তই।
লেখকের সুন্দর লেখার জন্য আরেকবার ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।
তপন,
তোমার লেখার ভঙ্গি খুবই সুন্দর ও প্রাঞ্জল। তোমার লেখাগুলো পড়ে আমি দারুণ অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমাদের পোস্টগুলোতে তুমি যে মন্তব্য করো, তা খুব মূল্যবান—এই অভ্যাসটা ধরে রাখো।
এছাড়াও আমি তোমাকে উৎসাহ দিতে চাই, তুমি যেন নিজেই একটি ব্লগ পোস্ট লেখো। তোমার কাছে প্রয়োজনীয় অ্যাক্সেস রয়েছে, এবং চাইলে তুমি গতকালের নির্দেশিকাটি অনুসরণ করে শুরু করতে পারো।
শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ।
আমরা যে ৭৫%শিক্ষিতের কথা বলি আমার মনে এটা কাগজে কলমে শিক্ষা। আসলে আমাদের দেশের জন্য দরকার হাতে কলমে শিক্ষা। সাথে সাথে নৈতিক শিক্ষা। এবং পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। আমাদের সময়ে যেমন আমরা বড়ো হয়েছি।জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বন্ধু হিসেবে। এখনকার শিক্ষার ফলাফল অনেকেই জিপিএ ৫/এ++পাচ্ছে। কিন্তু বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই আত্মকেন্দ্রিক। ফলে তারা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল না করে নিজের ভবিষ্যৎ কে বেশি উজ্জ্বল করে তুলছে। মোটা কথা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। সবার মাঝে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে হবে।
নিমাই,
তোমার লেখার হাত দারুণ। আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমাদের পোস্টগুলোর ওপর তুমি যেভাবে মন্তব্য করছো, সেটা চালিয়ে যাও, অনুরোধ রইল।
আরেকটা অনুরোধ—তুমি নিজের একটা ব্লগ পোস্ট তৈরি করো। তোমার প্রয়োজনীয় অনুমতি ও যোগ্যতা তো আছেই, আর আমাদের গতকালের গাইডলাইন অনুসরণ করতে পারো।
ধন্যবাদ।