দিন ৫: নারীর ক্ষমতায়ন—উন্নয়নের চাবিকাঠি
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, শুভেচ্ছা! আমাদের পঞ্চম দিনে আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলব। একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে নারীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। তারা আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক, তাদের শক্তি ছাড়া আমরা পূর্ণতা পাব না।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
নারীরা এখন পোশাক শিল্পে, শিক্ষায়, এমনকি রাজনীতিতে অবদান রাখছেন। তবু, শিক্ষা ও সুযোগের অভাবে অনেকে পিছিয়ে আছে। নারীদের এগিয়ে নিলে আমাদের পরিবার, সমাজ, আর অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
কী করতে হবে?
- মেয়েদের শিক্ষায় বিনিয়োগ করুন।
- কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করুন।
- সামাজিক কুসংস্কার দূর করতে সচেতনতা বাড়ান।
আজকের প্রস্তাব
আজ আপনার পরিবার বা পাড়ার একজন নারীকে উৎসাহ দিন—তিনি যেন তার স্বপ্নের পথে এগোন। তার গল্প আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
শেষ কথা
নারীরা শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ শক্তিশালী হবে। আগামীকাল আমরা নতুন বিষয় নিয়ে ফিরব। আপনার মতামত জানান।
ধন্যবাদ!
নারীর ক্ষমতায়ন, এটি যুগোপযোগী চিন্তা। আমাদের জনসংখ্যার সিংহভাগ নারী। আসুন আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে চেষ্টা করি নারীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তাদের যোগ্য আসনে ক্ষমতাশীন করে দেশ গঠনে অংশীদার করি।স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ি।উদ্দোক্তার উদ্দোগ শতভাগ সফল করে তুলি।
নারীর ক্ষমতায়ন বলতে, কবির ভাষায় বলতে হয়
এ পৃথিবীর যা কিছু মহান
যা কিছু কল্যাণকর
অর্ধেক তার গরিয়াছে নারী
অর্ধেক তার নর।
নারীদের যথাযোগ্য মর্যাদা ও সম্মান দিতে না পারলে দেশ গঠনে তাদের ভূমিকা আশা করা যায় না।
নারীদের এগিয়ে নেয়ার জন্য কয়েকটি প্রয়োজনীয় প্রস্তাব:
১) ইভটিজিংয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে
অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
২) নারীদের সামাজিক ভাবে অধিক উৎসাহিত করা। যাতে সে নিরুৎসাহিত হয়ে, তার কর্ম থেকে বেরিয়ে না আসে।
এ প্রসঙ্গে একটি নাম এখনো বলা যায় _উম্মে সালমা তানজিয়া, যিনি কিছু দিন আগে ফরিদপুর জেলার ডিসি ছিলেন। তিনি আসলেই নারীদের জন্য একটি আদর্শ। এমন আরও উদাহরণ আছে,যে সব নারী নিজের একান্ত চেষ্টায় সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
৩) বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের যে অগ্রগতি
এর পেছনে রয়েছে নারীদের বিশাল অবদান।
সুতরাং তারা যাতে আর্থিক ও সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সর্বপরি শিক্ষা, চিকিৎসা, খেলাধুলা, ব্যবসা ও বিনোদন সবদিক থেকে উৎসাহের সঙ্গে
নারীরা নিজেদের এ যায়গা গুলোতে মানিয়ে নিতে পারলেই হবে দেশের উন্নয়ন।
ব্লগার বন্ধুকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে
শেষ করছি।
এমন মহিয়সি নারী
কবে হবে দেশে
কথায় না বড়ো হয়ে
কাজে বড় হবে।
বন্ধুরা দুবার নোবেল জয়ী
এই মহিয়সি নারী কে?
নারীর ক্ষমতায়ন ও দেশের উন্নয়ন বলতে
যে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী, সমহারে
যদি এরা আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে না পারে তাহলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তাই দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে কুসংস্কার, ইভটিজিং মুক্ত পরিবেশে নারীদের শিক্ষা, ব্যবসা, খেলাধুলা, বিনোদন, রাজনীতি চর্চার সুযোগ করে দিলে দেশের উন্নয়ন এ তারা
ভুমিকা রাখবে।
ব্লগার বন্ধুকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
নারীর ক্ষমতায়ন বলতে আমরা বুঝি কুসংস্কার ও ইভটিজিং মুক্ত পরিবেশে নারীরা শিক্ষা, সাহিত্য, বিনোদন, রাজনীতি, খেলাধুলা চর্চার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে এবং দেশ এগিয়ে যাবে।
মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তবুও তাদের অবদানের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা বিশ্বের অনেক জায়গায় অপ্রয়োজনীয় রয়ে গেছে। নারীর ক্ষমতায়ন নিছক একটি নৈতিক আবশ্যকতা নয় বরং মানব উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য একটি কৌশলগত বিষয়।
নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে –এগুলো হলো
(১)) একটি বাড়ি একটি খামার (বর্তমানে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক),
(২) আশ্রয়ণ প্রকল্প,
(৩) ডিজিটাল বাংলাদেশ,
(৪) শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি,
(৫) নারীর ক্ষমতায়ন,
(৬) ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ,
(৭) কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, (৮ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি,
(৯ বিনিয়োগ বিকাশ এবং
(১০) পরিবেশ সুরক্ষা।
এই সমস্ত কার্যক্রম গুলি যদি সুচারুরূপে আমাদের দেশে প্রয়োগ করা যায়, তাহলে নারীরা ক্ষমতার দিক দিয়ে কখনো পিছিয়ে থাকবে না।
আবার তৃতীয় লিঙ্গের কথা যদি বলি -তাহলে এই দিক দিয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে আমাদের দেশ। কেননা, আমাদের দেশে তৃতীয় লিঙ্গ একটি অভিশাপ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। এরা পরিবার থেকেও বিতাড়িত,আবার মানব সমাজ থেকেও বিতাড়িত। তাই, আসুন আমরা এই দিকে নজর দেই।আর সে কারণেই “অন্তরে আমরা “ফাউন্ডেশনে তৃতীয় লিঙ্গকেও সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছি সম অধিকার দেয়ার জন্য।
ব্লগারকে ধন্যবাদ ।
নারী ক্ষমতায়ন- একটি দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি লেখকর সুস্পষ্ট চেতনা একেবারেই যথার্থ। কারণ নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতা তৈরী না হলে একটি দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। এর জন্য প্রয়োজন নারীকে স্বাবলম্বী করে তোলা বলে মনে করি। লেখকের প্রত্যাশা অনুযায়ী কিছুদিন আগে আমাদের পাশের পাড়ার একটি মেয়ে আমার কম্পিউটার এ আসে কিছু জানার জন্য। মেয়েটির একটি চার বছরের বাচ্চা আছে। শ্বশুর বাড়ির নিত্যদিনের অত্যাচার নির্যাতনের কারণে টিকতে না পেরে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে জানতে পেরে কম্পিউটার এ ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলাম। এস এস সি পাশ থাকায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ারও পরামর্শ দিলাম। কথা শুনেছে এবং সে নিয়মিত দু জায়গায় ক্লাস করে যাচ্ছে। তাতে তার মানষিক পরিবর্তন হয়েছে ও নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমি তার সাফল্য কামনা করি। ধন্যবাদ বন্ধু লেখককে।