দিন ২৪: খাদ্য নিরাপত্তা—সবার জন্য খাবার
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, শুভেচ্ছা! আজ আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলব।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
ক্ষুধা ও অপুষ্টি আমাদের উন্নয়নের শত্রু। সবার জন্য নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে হবে।
কী করা যায়?
- কৃষি উৎপাদন বাড়ান।
- খাদ্য সংরক্ষণ উন্নত করুন।
- অপচয় কমান।
আজকের প্রস্তাব
আজ খাবারের অপচয় এড়ান এবং কীভাবে করলেন, আমাদের বলুন।
শেষ কথা
খাদ্য নিরাপত্তা মানে সুস্থ জাতি। আপনার মতামত জানান। ধন্যবাদ!
খাদ্য নিরাপত্তা বলতে আমরা যা বুঝি সেটি হচ্ছে উৎপাদন বৃদ্ধি ও উৎপাদিত খাদ্যের সঠিক ও সুন্দর রক্ষণাবেক্ষণ করা।
উৎপাদন বৃদ্ধি করতে মাটির গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে এবং তাতে উপযুক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
তবে সার ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সার ব্যবহার অধিক স্বাস্থ্য উপযোগী। ঠিক তেমনি রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে, বিভিন্ন ফাঁদ পেতে পোকা মাকড় ধ্বংস করা অনেক ভালো। এতে ফসল, সবজি,ফল ইত্যাদির গুনগত মান অনেক ভালো হয় এবং এগুলো বিদেশি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
উৎপাদিত খাদ্য সংরক্ষন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ উৎপাদিত খাদ্য সংরক্ষন সঠিক না হলে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবো না।আর তাই প্রয়োজন প্রাকৃতিক ফুডপিজারভেটিভ ব্যাবহারের মাধ্যমে খাদ্যকে অনেক দিন ভালো রাখা। তবেই আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
ব্লগার বন্ধুকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।
খাদ্য নিরাপত্তা বা সবার জন্য খাবার–
একটা দেশের উন্নয়নের পূর্ব শর্ত। যদি কিনা আমরা, খাদ্যের নিরাপত্তা না দিতে পারি, তাহলে একদিন আমরাই পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব বলে আমার বিশ্বাস। নিরাপত্তা বলতে আমরা বুঝি, আমরা যে ফসল বা ফলমূল উৎপাদন করি এগুলোকে কৃত্তিম ভাবে না পাকিয়ে ফরমালিন দ্বারা ফসলাদি পাকিয়ে থাকি। যা নিজেরাই ক্যান্সার নামক জীবাণু নিজেদের শরীরে প্রবেশ করাই। যার কারণে, আমাদের এই বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের চাইতে ক্যান্সার রোগীর ঝুঁকি সব থেকে বেশি। এটা শুধুমাত্র খাদ্যের নিরাপত্তা না দেওয়ার কারণে। নিম্মোক্ত প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে খাদ্যের নিরাপত্তার সমাধান সম্ভব —-
১.আমরা কি চাহিদার সঙ্গে সামাঞ্জস্য রেখে উৎপাদন করছি?
২. কৃষকের ঘাম ঝরানো উৎপাদনের আর্থিক মূল্য নিশ্চিত করছি?
৩. উন্নততর প্রজাতির আলু উৎপাদন করে আন্তর্জাতিক বাজার খুঁজেছি?
৪. আলু সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করেছি?
৫. উৎপাদন মৌসুমে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের নিরাপত্তা মজুদ কিংবা বাজারমূল্যে দিয়েছি ?
আজ এ পর্যন্তই ব্লগার কে আমার অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুস্থ দেহে সুস্থ মন
খাদ্য নিরাপদ যতক্ষণ।
বেঁচে থাকার জন্য আমাদের খাদ্য যেমন অপরিহার্য, তেমনি ভেজালযুক্ত খাদ্য বর্জন করা অত্যাবশ্যক। খাদ্য যদি নিরাপদ হয়,জীবন হবে আনন্দলময়।