দিন ২৭: শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন—জ্ঞানের আলোকবর্তিকা
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, শুভেচ্ছা! আজ আমরা শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা করব।
কেন এটি জরুরি?
শিক্ষকরা আমাদের ভবিষ্যৎ গড়েন। তাদের উন্নতি শিক্ষার মান বাড়াবে।
কী করতে হবে?
- শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিন।
- তাদের সম্মান ও সুযোগ বাড়ান।
- প্রযুক্তি ব্যবহারে সাহায্য করুন।
আজকের প্রস্তাব
আজ একজন শিক্ষককে ধন্যবাদ দিন এবং আমাদের জানান।
শেষ কথা
শিক্ষক শক্তিশালী হলে জাতি শক্তিশালী হবে। আপনার মতামত জানান। ধন্যবাদ!
আমরা জানি শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড হলে শিক্ষক হচ্ছে জাতির বিবেক। শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞানদানকারী এই বিবেককে জাগ্রত করতে হলে চাই শিক্ষকদের অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ ও যথাযথ সামাজিক মর্যাদা প্রদান করা। তাহলেই জ্ঞানের আলোকবর্তিকা ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। তথা সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের মানষিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে তারা তৎপর হবে বলে মনে করি। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের স্কিল বৃদ্ধি করা আরও গতিশীলতার প্রয়োজন। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একজন শিক্ষক প্রতিদিন আধুনিক বিশ্বের প্রতিটি ঘটনাবলীর বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের মননশীলতা তথা জীবন দর্শন আলোকিত করতে পারবেন। ধন্যবাদ মানুষ গড়ার কারিগর একজন সম্মানিত শিক্ষককে। ধন্যবাদ লেখক বন্ধুকে।
বাবা এবং মায়ের পর একজন মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হচ্ছে শিক্ষক। জীবনে তার গুরুত্ব নেহায়েত কম নয়। যে শিক্ষকের কাছে শিক্ষা নিয়ে একজন মানুষ হয়ে উঠছে ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, ডিসি,এস পি, আর্মি অফিসার আরো কতো কি? সেই শিক্ষকের জীবন মান কেমন হবে তা একটু বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন আছে।
যাদের মানুষ গড়ার কারিগর বলা হয় বা বলা হয় আলোকবর্তিকা সেই মানুষটি যদি থাকে আর্থিক কষ্টের মাঝে তবে তার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যাবে না। তাই প্রথম দরকার তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের আর্থিক নিরাপত্তা।
আজ খুব বেশি করে মনে পড়ে জিলা স্কুলের ইদ্রিস স্যারের কথা।কী ভালোই না ক্লাসে পড়াতেন স্যার।
আধুনিক যুগে যুগোপযোগী ক্লাস নিতে হলে
প্রয়োজন স্যারদের বিশেষ প্রশিক্ষণের এবং সেই সাথে আরো প্রয়োজন অবিভাবকদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা যাতে ছেলে মেয়েদের আদবকায়দায় কোন ঘাটতি না থাকে, তাহলে আমাদের দেশ হবে একটি সুন্দর দেশ।
সমস্ত শিক্ষক কে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে এবং ব্লগার বন্ধুকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।
জাপানের একটা প্রচলিত প্রবাদ বাক্য দিয়ে আমি বিষয়টি উপস্থাপন করতে চাচ্ছি। প্রচলিত প্রবাদটি হলোঃ‘‘Better than a thousand days of dilligent study is one day with a great teacher’’.অর্থাৎ হাজারো দিনের পরিশ্রমী অধ্যয়নের চেয়ে একজন মহান শিক্ষকের সাথে একদিন কাটানো ভালো”।
এটা বিশ্লেষণ করলে আমরা এটাই বুঝি যে, শিক্ষক হচ্ছে সেই জাতি, যা জাতির মেরুদন্ড বলে আমরা আখ্যায়িত করে থাকি।এই প্রবাদ বাক্যটি শুধুমাত্র উন্নত দেশগুলোর দিকেই লক্ষ্য করে থাকি।
আমাদের দেশের শিক্ষকদের মর্যাদা বা ক্ষমতায়ন যাই বলি না কেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।
শিক্ষকের মর্যাদা বা ক্ষমতায়ন নিয়ে আমার অনেক কিছু লেখার ছিল। কিন্তু সময় সল্পতার কারণে,আমি এই বলে শেষ করছি —“শিক্ষক শক্তিশালী হলে জাতি অবশ্যই শক্তিশালী হবে। ”
ব্লগারকে ধন্যবাদ।
আজকের আলোচ্য বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য সবার আগে ধন্যবাদ জানাই লেখক বন্ধুকে এমন সুন্দর বিষয় উপস্থাপনের জন্য। আমাদের জীবনে শিক্ষকের অবদান বলে শেষ করা যাবে না। শিক্ষক আমাদের পাঠ্যবিষয়ের পাশাপাশি আদব-কায়দা,চলন-বলন,ন্যায়-নীতি ইত্যাদি সব বিষয়ে সুশিক্ষা প্রদান করে আমাদেরকে তিলে তিলে শিশু থেকে পরিণত করেন পূর্ণাঙ্গ মানুষে। এই মানুষ গড়ার কারিগরদের আর্থিক সচ্ছলতাসহ সর্বোচ্চ সম্মান নিশ্চিত করা আমাদের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য বলে আমি মনে করি। লেখককে পুনঃ ধন্যবাদ।