খাদ্য নিরাপত্তা হলো সবার জন্য পরিমিত পরিমাণ সুষম খাদ্যের নিশ্চয়তা। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের ভিত্তি হলো ১) খাদ্য উৎপাদন। ২) খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন। ৩) খাদ্য সংরক্ষন।
খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, সরবরাহ ও খাদ্য সংরক্ষন এর সমন্বয়ে মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ হয়।এ তিনটি খাতের ভূমিকা নিম্নরূপ:
ক) খাদ্য উৎপাদন: খাদ্য উৎপাদনে প্রয়োজনীয় জিন প্রযুক্তি ও রাসায়নিক গঠন পরিবর্তন করে উন্নত জাতের ফসলের বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষি খাদ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ -তিনগুন বৃদ্ধি করতে হবে। উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান Zn,Mn, Nitrogen ইত্যাদি সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে। প্রয়োজনে জৈব সার ব্যবহার করা যেতে পারে। ফসলের ক্ষেতে পোকা মাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসলকে বাঁচাতে ফাঁদ পেতে পোকা মাকড় ধ্বংস করা যেতে পারে।
খ) খাদ্য সরবরাহ: খাদ্য সরবরাহে রাস্তা এবং পরিবহনের বিরাট ভূমিকা আছে। প্রতিটি পরিবহনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে পেট্রোল, ডিজেল, সিএনজি যা মূলত রাসায়নিক উপাদান। এগুলোর মূল্য মানের দিকে কড়া নজর রাখা দরকার। কারণ এর সাথে ফসলের বাজার মূল্য কমা বাড়া জড়িত।
গ) খাদ্য সংরক্ষন: প্রাকৃতিকভাবে সংগৃহীত জৈব খাদ্য সমুহ একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভালো থাকে।এর পর এতে এনজাইমের ক্রিয়ায় বা অনুজীবের আক্রমনে পচন ধরে। খাদ্য কে দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে হলে এতে প্রিজারভেটিভ (যেমন -ভিনেগার,সরবিক এসিড, সোডিয়াম বেনজয়েট ইত্যাদি) ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কৌটাজাতকরন,ধূমায়মান,কিউরিঙ,পিকলিঙ সহ খাদ্য সংরক্ষন পদ্ধতিতে ব্যবহার হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির রাসায়নিক পদার্থ। এছাড়াও প্রাকৃতিক খাদ্য সংরক্ষক হিসেবে পরিচিত খাদ্য লবন, চিনির গাঢ় জ্বলীয় দ্রবন, সরিষার তেল সহযোগে কাঁচা মাছ 🐟, বিভিন্ন মৌসুমী ফল ও আচার জাতীয় খাবার সংরক্ষন যেমন সহজ তেমনি বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
ছবিতে যে দেশজ ফলের ছবি দেখা যাচ্ছে,তা কখনোই একসাথে খাওয়া সম্ভব না। এগুলো উপযুক্ত সংরক্ষনের মাধ্যমে যদি বিদেশ প্রেরণ করা যায়, তবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। দ্বিতীয় ছবিতে পাহাড়ী ফল আনারসের ছবি দেখা যাচ্ছে,যা সামান্য ভিনেগার, সোডিয়াম বেনজয়েট ও সাইট্রিক এসিড সমন্বয়ে সংরক্ষন করা সম্ভব। আমাদের পাহাড়ী জমি গুলোর সম্ভবতা যাচাই করে আরো কি কি ফসল সেখানে ফলানো যায় তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।
শুধুই কি ফল, খাদ্য শস্য -বাহারী কিছু ফুল যা উপরে চিত্রে দেখা যাচ্ছে, এমন সব বাহারি ফুল গ্লিসারিন পানি স্প্রে করে অনেক দিন পর্যন্ত সতেজ রাখা সম্ভব এবং বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব যাতে দেশ হবে আর্থিক ভাবে লাভবান। বন্ধুদের আরো অনেক সুন্দর মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। সবার মঙ্গল হোক।
আচার,ফল, কাঁচা মাছ 🐟 ইত্যাদি সঠিক ভাবে সংরক্ষন ও রপ্তানি করতে পারলে দেশ উপকৃত হবে। ব্লগার কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কৃষি ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবন করে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়, যা খাদ্য উৎপাদন বাড়ায়। আর
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারলে দেশে অপুষ্টি কমে যাবে।
মোটকথা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে অর্থনীতি মজবুত হবে।
লেখক তার লেখনীর মাধ্যমে আরো নতুন নতুন ব্লগ আশা করছি।