Skip to content

হেপাটাইটিস সচেতনতা বৃদ্ধি করুন, দেশকে মরনব্যাধীর ঝুঁকি মুক্ত রাখুন

#প্রথমত যে কথাটি আমাদের মনের মাঝে নাড়াদেয় তা হচ্ছে হেপাটাইটিস কি বা এ রোগে মানুষের কি কি অসুবিধা হতে পারে বা এর প্রকারভেদ কি?
#প্রতি বছর ২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস। হেপাটাইটিস হচ্ছে যকৃতের প্রদাহ। যকৃতের কোষগুলো বিনষ্ট হতে হতে যখন যকৃতের আকারে ছোট হয়ে যায় এবং এর কার্যকলাপ কমে যায়, এঁকে বলা হয় লিভার সিরোসিস।
#হেপাটাইটিস পাঁচ প্রকারের হয়ে থাকে,যথা হেপাটাইটিস এ,বি,সি,ডি এবং ই ।
#এই পাঁচ প্রকারের হেপাটাইটিসের মধ্যে এ এবং ই টাইপের হেপাটাইটিসকে সাধারণ হেপাটাইটিস বলা হয়। নবজাতক এবং সাধারণ মানুষকে এ রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়,যা২থেকে ৩ সপ্তাহ বিশ্রামে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
#উপসর্গ : প্রস্রাব হলুদ রঙের, চোঁখের কোনায় হলুদাভ এবং খাবারে অরুচি ও সবসময় বমির প্রবনতা, সেই সাথে ঘুম ও কমে যায়। শিশুদের এমন দেখলে, তাদের ৫ থেকে ৭ দিন একটু রোদে রাখলে শিশু ভালো হয়ে যায়।
# কিন্তু হেপাটাইটিস বি ও সি প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে না। এটি বিভিন্ন ইনজেকশন ও রক্ত গ্রহণজনিত কারণে আক্রান্ত হতে পারে। সাথে সাথে চিকিৎসা শুরু না হলে এ রোগের পরিনতি ভয়ানক হতে পারে,যা লিভার সিরোসিস বা সর্বশেষ ক্যান্সার এ রুপ নিতে পারে।

প্রতিকার : সব সময় টাটকা খাবার গ্রহণ ও বিশুদ্ধ পানি গ্রহণ হওয়া উচিত আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। যদি প্রয়োজন হয়, তবে রক্ত নেওয়ার সময় ডাক্তার সাহেবের পরামর্শ ক্রমে পরিশোধিত রক্ত নিতে হবে। সর্বপরি পেটে ব্যাথা, খাবারে অরুচি,জ্বর জ্বর ভাব, অনিদ্রা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা গেলে ফকির, ওঝা ইত্যাদির পরামর্শ না নিয়ে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত এবং সর্বোপরি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে হেপাটাইটিস পরীক্ষা করে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।

#হেপাটাইটিস বি ও সি আক্রান্ত রোগী যদি সন্তান ধারণ করতে চায় তবে সে সন্তান ও হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হতে পারে।এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন। আবার এ রোগে আক্রান্ত কেউ যদি যৌন মিলনে যেতে চান, অবশ্যই নিরাপত্তার স্বার্থে তার কনডম ব্যবহার করা উচিত।

#হেপাটাইটিস যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ নয়, তাই এসব রোগীর সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না বা তাদের সাথে খাবার খাওয়া যাবে না, তাদের ব্যবহৃত থালা, গ্লাস ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না,তা ঠিক নয়। যেহেতু এটি শুধু রক্তের মাধ্যমে ছড়াতে পারে তাই আক্রান্ত রোগীর টুথব্রাশ ও রেজার ব্লেড অন্য কারো ব্যবহার করা উচিত নয়।

#আমরা জনসাধারণ স্বাস্থ্য সম্মত খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি গ্রহণ করবো এবং এ রোগ বা রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করবো । প্রয়োজনে অন্তরে আমরা দলবদ্ধ ভাবে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো । বন্ধুরা তোমাদের সুচিন্তিত মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।

Subscribe
Notify of
guest
2 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Tapan Saha
20 days ago

দারুণ একটা শিক্ষণীয় পোষ্ট। তার লেখা থেকে আমার বিশ্বাস, মানুষ কিছুটা হলেও সচেতন হতে পারবে এবং উপকৃত হবে। ধন্যবাদ ব্লগারকে।

Angona
Angona
17 days ago

ব্লগারের লেখা থেকে এ ঘাতক ব্যাধি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। বিষয়টি এমন শুধূ নিজে জানলেই হবে না, অন্যদের কে জানাতে হবে এবং ভ্যাকসিন নিতে হবে। ধন্যবাদ

2
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x