দিন ৭: কৃষির আধুনিকীকরণ—সমৃদ্ধির পথ
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, শুভেচ্ছা! আমাদের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যাত্রায় আমরা সপ্তম দিনে এসেছি। আজ আমরা কথা বলব কৃষির আধুনিকীকরণ নিয়ে। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল শক্তি কৃষি। আমাদের জনসংখ্যার প্রায় ৪০% এখনও কৃষির উপর নির্ভর করে। তাই এই খাতকে আধুনিক করা আমাদের সমৃদ্ধির জন্য জরুরি।
কেন আধুনিকীকরণ দরকার?
জলবায়ু পরিবর্তন, জমির স্বল্পতা, আর পুরনো পদ্ধতি আমাদের ফসল উৎপাদনকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। আধুনিক প্রযুক্তি আর জ্ঞান ব্যবহার করলে আমরা বেশি ফলন পেতে পারি এবং কৃষকদের আয় বাড়াতে পারি। উদাহরণস্বরূপ, ভিয়েতনাম আধুনিক কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করে চাল রপ্তানিতে এগিয়ে গেছে। আমরাও পারি।
কী করা যায়?
- সেচ ব্যবস্থায় প্রযুক্তি ব্যবহার করুন, যেমন ড্রিপ ইরিগেশন।
- জলবায়ু-সহনশীল ফসলের চাষ বাড়ান।
- কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ আর ঋণের সুযোগ দিন।
আজকের প্রস্তাব
আজ আপনার এলাকার একজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলুন। তিনি কী সমস্যার মুখোমুখি হন এবং কীভাবে আধুনিক পদ্ধতি তাকে সাহায্য করতে পারে, তা জানুন। আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের শেয়ার করুন।
শেষ কথা
কৃষি আমাদের শক্তির উৎস। এটিকে আধুনিক করলে আমরা খাদ্য নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি পাব। আগামীকাল আমরা নতুন বিষয় নিয়ে ফিরব। আপনার মতামত জানান। ধন্যবাদ!
কৃষি নির্ভর বাংলাদেশ আর এই কৃষির মাধ্যমে যদি অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে হয় তবে কৃষির আধুনিকায়ন প্রয়োজন। পুরাতন ধ্যান ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
এ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা প্রয়োজন,উন্নত বিশ্বের কৃষকেরা জমি চাষাবাদের পূর্বে মাটির
H
P মেপে নেয়। কারণ এই PH মান ৬থেকে ৮এর ভেতরে থাকলে সে মাটি ফসল উৎপাদনের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু আমার দেশের কতজন কৃষক মাটি পরীক্ষা করে ফসল চাষ করে।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিজ ও সার। এসবের মানে যদি ঘাটতি থাকে তাহলে
কখনো ভালো উৎপাদনের আশা করা যায় না।
প্রয়োজনে P H পেপার সরকার কে কিনে কৃষকের হাতে পৌছে দিতে হবে যাতে এ পরীক্ষা তারা নিজেরাই করতে পারে।
সর্বপরি উৎপন্ন ফসল সঠিক ভাবে সংরক্ষন এবং তার উপযুক্ত বাজার মূল্য না পেলে কৃষক
তার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
আরো একটি বিষয় হচ্ছে চাষের জমি যথেচ্ছ ভাবে নষ্ট করে বসত বাড়ি গড়ে তোলা। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে উন্নত বিজ ব্যবহার করে
সামনে আমরা কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে পারি এবং দেশের উন্নয়ন এ ভুমিকা রাখতে পারি।
ব্লগার বন্ধুকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।