দিন ১৩: সামাজিক সমতা—একটি ন্যায্য বাংলাদেশ
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, শুভেচ্ছা! আজ আমরা সামাজিক সমতা নিয়ে কথা বলব।
কেন এটি জরুরি?
ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য, লিঙ্গভিত্তিক অসমতা আমাদের উন্নয়নকে বাধা দেয়। সবাই এগোলে দেশ এগোবে।
কী করতে হবে?
- শিক্ষায় সমান সুযোগ দিন।
- দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান বাড়ান।
- সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।
আজকের প্রস্তাব
আজ একজন অবহেলিত মানুষকে সাহায্য করুন—যেমন খাবার বা পরামর্শ দিয়ে। আমাদের শেয়ার করুন।
শেষ কথা
সমতাই শক্তি। আপনার মতামত জানান। ধন্যবাদ!
সবাই এগুলে দেশ এগুবে- এ কথা ধ্রুব সত্য। সর্বক্ষেত্রে সমতা রক্ষায় আমাদের সকলের সচেষ্ট হওয়া একান্ত দরকার। ধন্যবাদ জনাব নজরুল কে।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নারী-পুরুষ সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নের বাধা দূর করে সমতার পথে এগোতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকে।কিন্তু তারপরেও সামাজিক সমস্যার ক্ষেত্রে নানা দিকের সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। নারীরা এখনো পুরুষ বৈষম্যের শিকার।
এছাড়াও আমাদের দেশে তৃতীয় লিঙ্গের জেন্ডার সমতা এখনো প্রচুর পরিমাণে রয়ে গেছে। এইগুলি সমতায় আনতে পারলে, দেশ দ্রুত একটি ন্যায্য বাংলাদেশ হিসেবে পরিগণিত হবে বলে আমার বিশ্বাস ।
১৩ তম দিনে ব্লগারকে আমার ধন্যবাদ।
পরম করুনাময় ঈশ্বর মানুষকে সমান করে পাঠায়নি, আমরা তো মানুষ। এদের একজন ছেলে মানুষ, একজন মেয়ে মানুষ, আরেক জন
তৃতীয় লিঙ্গের। আবার কেউ উচ্চ বিত্ত, কেউবা মধ্য বিত্ত, আবার কেউ নিম্ন বিত্ত। এদের সমতা বিধান খুব সহজ কাজ নয়।
পানি যেমন উপর থেকে নীচের দিকে যায় তেমনি উচ্চ বিত্তের মানুষগুলো সাদা মন নিয়ে সবাই কে কাছে নিয়ে উন্নয়নে অগ্রসর হয়
তবেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব।
শুধু একটা অঙ্গের অভাবে যারা প্রোযননে অক্ষম এদের কে আমরা বলি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। এরা সমাজ ও স্বাভাবিক পরিবেশ থেকে বিচ্যুত। কোনো উন্নয়ন বা স্বাভাবিক কাজে এদের অংশ গ্রহণ নেই। তাই শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা সহ সমস্ত কাজে অন্তর্ভুক্ত করে এদের দেশ গঠনে সহায়তা করার সুযোগ করে দেয়া
প্রয়োজন।
ব্লগার বন্ধুকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।
অসমতা যেন প্রতিযোগিতামুলকভাবে বেড়েই চলেছে আমাদের দেশে। ধনীরা গরীবের সাথে, প্রভাবশালীরা অধীনস্থদের সাথে, ব্যবসায়ীরা কৃষকের সাথে কিংবা চাকুরীজীবিদের সাথে, পুরুষের সাথে নারীর এমনকি যুবারা প্রবীণদের সাথে- এযেন শ্রেণি সংঘাতের মতো প্রায়ই দেখা যায় আমাদের সমাজে। এই অসমতা দৃষ্টিভঙ্গি দেশের উন্নয়নের জন্য মারাত্মক হুমকি সরূপ বলে মনে করি। এই অসমতা দূর করার জন্য আমাদের হিংসা ও বিদ্বেষ পরিহার করে প্রতিটি মানুষকে অন্তর থেকে ভালোবাসার মানুষ হিসেবে চিন্তা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে সমান সুযোগ ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করার মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সম অধিকার নিশ্চিত করার নিমিত্তে আমরা একটি সামাজিক সমতাসূচক উন্নয়নমূলক শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো। লেখকের চিন্তা ভাবনাকে বাহবা জানিয়ে শেষ করছি।