দিন ১৮: দুর্নীতি দমন—উন্নয়নের পথে
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, শুভেচ্ছা! আজ আমরা দুর্নীতি দমন নিয়ে আলোচনা করব।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
দুর্নীতি আমাদের সম্পদ নষ্ট করে, উন্নয়নকে বাধা দেয়। স্বচ্ছতা ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব নয়।
কী করা যায়?
- সরকারি কাজে ডিজিটাল স্বচ্ছতা আনুন।
- সচেতনতা বাড়ান।
- দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলুন।
আজকের প্রস্তাব
আজ দুর্নীতির একটি উদাহরণ নিয়ে ভাবুন এবং সমাধানের আইডিয়া দিন। আমাদের শেয়ার করুন।
শেষ কথা
দুর্নীতি মুক্ত হলে উন্নতি আসবে। আপনার মতামত জানান। ধন্যবাদ!
আঠারো তম দিনের বিষয়টি এতোটা গুরুত্বপূর্ন যা লিখে শেষ করা যাবে না। স্বচ্ছ চোখে আমরা যদি চারিদিকে তাকাই তাহলে দেখবো শুধু দুর্নীতি দুর্নীতি আর দুর্নীতি।
সরকারি আমলা, কর্মচারী, পুলিশ, স্বাস্থ্যখাত, ভুমি সেবা,পৌরসেবা এ খাত গুলো সেবা কথাটি মুছে গিয়ে টাকা দাও কাজ নাও এ পরিনত হয়েছে।
এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিটি মানুষকে সোচ্চার হতে হবে। যাতে মানুষ রাতারাতি টাকার পাহাড় বানাতে না পারে আবার সরকার কে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে একজন মানুষ ভদ্রচিত ভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। তবেই দুর্নীতি দমন সম্ভব।
দুর্নীতি দমন করতে না পারলে কখনোই আমাদের বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে ধাবিত হবে না। দুর্নীতির প্রধানতম কারন হল, নীতিহীন লোভ এবং ভয় থেকে মুক্ত থাকা। মানুষ জন্মগতভাবে অনেকগুলো মৌলিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায় এর মধ্যে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল লোভ।
তাই লোভ যদি আমরা বর্জন করতে না পারি তাহলে, কখনোই আমরা ভালো বা সাদা মনের মানুষ হতে পারব না। এক কথায়, প্রকৃতপক্ষে প্রত্যেকটি মানুষেরই উচিত নিজের মন পরিষ্কার করা। তাই, যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের মন পরিষ্কার করতে না পারবো অথবা নিজের লোভ সংবরণ করতে না পারব ততক্ষণ পর্যন্ত দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে বলে আমার মনে হয় না।তাই আসুন, আগে নিজের মন পরিষ্কার করি, তাহলে দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে।
সবশেষে, আমরা সকলেই এক বাক্যে বলি দুর্নীতির ক্ষেত্রে “না “।
ধন্যবাদ।
দুর্নীতি অনেকটা দূরারোগ্য ক্যান্সারে রুপ নিয়েছে। দেশ থেকে আমরা যদি দুর্নীতিকে সমূলে উৎপাটন করতে পারি তাহলে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে আমাদের বেশি সময় লাগবে না। তাই আসুন, আমরা সবাই সচেতন হই,দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেই।