দিনে দিনে দেশের মানুষ বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু চাষের উপযোগী জমি বৃদ্ধি পায় নাই।ঐ নির্দিষ্ট জায়গাতে ফসল এমন ভাবে উৎপাদন করতে হবে যাতে সম্পুর্ন দেশের মানুষের মুখে আহার যোগান দেওয়া যায়।এর মানে হচ্ছে দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলি তে রুপান্তরিত করতে হবে। আরো একটি বিশেষ দিক হচ্ছে বারো মাসি শাক শব্জি ও ফল মূলের রোপন। যাতে করে জনগন কখনো শব্জি ও ফলের অভাব অনুভব না করতে পারে।
এরজন্য আমাদের প্রয়োজন উন্নত বীজ এবং উর্বর মাটি। ফসলের বীজ রোপণের পূর্বে মাটির pH মান মেপে নেওয়া দরকার এবং এ মানটি হতে হবে ৬-৮ এর ভেতরে।
কিছু কিছু ফলজ গাছে লক্ষ্য করা যায় ফল আসতে অনেক দেরী করে অথবা ফল আসার পর পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে ঝরে যায়। তখন বুঝতে হবে গাছে পটাশিয়াম সারের অভাব হয়েছে। এটি প্রদান করে মাটিকে তখন চাষাবাদের উপযোগী করে তৈরি করা হয়।
ফল বা সবজি যাই চাষ করা হোক না কেন প্রথম প্রয়োজন মাটির pH টা দেখে নেওয়া। মাটির উপকারী অনুজীবের জন্য তাদের অনুকূল pH মান৬.৬-৭.৩। মাটির pH মান অনিয়ন্ত্রিত হলে, উদ্ভিদের পক্ষে মাটি থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য গ্রহণ করা সম্ভব হবে না ।মাটির pH কমে গেলে এতে চুন(CaO), ডলোমাইট ( CaCO3,MgCO3), অ্যামোনিয়ামকার্বনেট (. (NH4)2CO3. ) প্রভৃতি যোগ করে মাটির pH মান বৃদ্ধি করে নেওয়া যেতে পারে।ঐ সব মাটিতে চীনা বাদাম, ভূট্টা,গম,যব প্রভৃতি ফসল চাষ বাসের উপযোগী হয়।
pHমান ৯.৫এর উপরে থাকলে মাটির অনুজীব সব মরে যায়।তখন মাটির pH মান কমানোর জন্য বিভিন্ন নাইট্রেট সার যেমন পটাশিয়াম নাইট্রেট (KNO3), অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (.NH4NO3).TSPইত্যাদি প্রয়োগ করা হয়।
বন্ধুরা আরো অনেক ভাবে কৃষির উন্নয়ন করা সম্ভব এবং সেই সাথে দেশের উন্নয়ন। নানা প্রজাতির ফল ফুলের গাছ কলম করে রোপন এবং সবুজায়ন ইত্যাদি ইত্যাদি, যাতে অক্সিজেনের অভাব আমাদের না হয়। সেই সাথে ছাঁদ কৃষির দিকে আমরা গুরুত্ব দিতে পারি।
বন্ধুদের সুন্দর সুন্দর মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। তোমারা কিন্তু অবশ্যই কমেন্টে লিখবে। সবাই কে ধন্যবাদ।
চমৎকার একটি লেখা! 👏
কৃষিকে ঘিরে দেশের উন্নয়নের এই বিশ্লেষণ সত্যিই তথ্যবহুল ও সময়োপযোগী। মাটির pH মান, উপযুক্ত সার ব্যবস্থাপনা, আর বারো মাসি সবজি-ফলের গুরুত্ব নিয়ে লেখাটা অনেক নতুন বিষয় জানালো। বিশেষ করে ছাঁদ কৃষি ও সবুজায়নের দিকটি একেবারেই যুগোপযোগী একটি উদ্যোগ।
এই ধরণের লেখা আরও চাই। শুভকামনা রইলো আগামি কাজের জন্য। লেখাটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ✨
চমৎকার লিখেছে বন্ধু দেবব্রত। বৈজ্ঞানিক তথ্য সম্বলিত কৃষিকাজ সম্পর্কে যে ব্যাখ্যা দিয়েছো তা অনুসরণ করলে আমাদের কৃষিক্ষেত্রে হতে পারে অভূতপূর্ব উন্নয়ন।ধন্যবাদ বন্ধু দেবুকে এমন শিক্ষণীয় লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।
কৃষির উন্নয়নই হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্ত হওয়া। এটা একদিকে যেমন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তেমনি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করে।আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ কৃষির উৎপাদনও বৃদ্ধি করে। এছাড়াও লেখক ছাদ কৃষির মাধ্যমেও উৎপাদন বৃদ্ধির কথা বলেছেন, যা যুগোপযোগী বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ।
বন্ধু, দেবুকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। কারন আমাদের দেশের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কৃষি ও চাষাবাদের উন্নয়ন। আর বন্ধু, দেবু সেই বিষয় টি নিয়ে একটা দারুণ পোস্ট দিয়েছে।দেবুর জন্য শুভকামনা।
মাটির মান বিচারের দিকে নজর দেওয়ার জন্য ব্লগার কে ধন্যবাদ। এমন লেখা আরো চাই।