CO2 কে প্রধান গ্রীন হাউজ গ্যাস বলা হয়। পরিবেশে CO2এর বৃদ্ধির কারণ
১) শিল্প কারখানায় কয়লা ও মোটরযানে পেট্রোল এর ব্যবহারে বায়ুতে CO2 এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২)
বনভূমি ধ্বংসের কারনে উদ্ভিদ দ্বারা CO2 কম শোষিত হচ্ছে।
৩) সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পানিতে
CO2 কম দ্রবিভূত হচ্ছে।
১৮৫০ সালে CO2 এর পরিমাণ ২৯০ppm থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮৫ppm হয়েছে।যা CO2 এর শতকরা ৩৩ ভাগ বৃদ্ধির সমতুল্য।২০১১ সালে NASA র বিজ্ঞানীদের মতে বায়ূমন্ডলে CO2 বৃদ্ধির হার শতকরা ৪০ ভাগ হয়েছে। বর্তমান হারে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার এবং বনাঞ্চল ধ্বংস হলে আগামী ২০৫০সালের মধ্যে বায়ুমণ্ডলে CO2 এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০ppm-৭০০ppm হতে পারে। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা ৩ ডিগ্রী পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
রেকর্ড মতে ১৯৯৭-১৯৯৯ এ তিন বছর পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি উষ্ণ বছর (hotest year) ছিল।১৯৮৭-১৯৯৭ এ দশকে আগের দশকের চেয়ে ১০গুন সামুদ্রিক ঝড় থেকে সর্বনাশা বন্যা হয় এবং এর প্রভাব ১৯৯৮-১৯৯৯ সালেও ছিল। রেকর্ড মতে শতকরা ১০ ভাগ গ্লোবাল স্নো পরিসর কমে গেছে; সুমেরু সাগরে বরফ স্তর শতকরা ৪০ভাগ কমেছে; বরফ জমাট বাঁধা শতকরা ২০ ভাগ কমেছে এবং উত্তর গোলার্ধে শতকরা ১০ ভাগ বৃষ্টিপাত বেড়েছে।
বর্তমান কম্পিউটার মডেল অনুসারে অধিকাংশ পরিবেশ বিজ্ঞানীর ধারণা বর্তমান হারে CO2 বৃদ্ধি পেলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বর্তমানের ১৫ ডীগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২০৫০সালের মধ্যে ৩ ডীগ্রি বৃদ্ধি পেয়ে গড় তাপমাত্রা ১৮ ডীগ্রি সেলসিয়াস হবে।এর ফলে বাংলাদেশের প্রায় শতকরা ১৭ ভাগ স্হল ভূমি সমুদ্রে জলমগ্ন হবে। জনসংখ্যার চাপে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হবে এবং অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
বন্ধুরা এ থেকে কি আমরা বুঝতে পারছি না যে, আমরা কতটা অস্তিত্ব সংকটে আছি? শুধুই বনায়ন না, আরো কি কি ভাবে আমরা আমাদের এই সোনার দেশ কে রক্ষা করতে পারি , তোমাদের সুন্দর সুন্দর মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। সবার মঙ্গল কামনায় শেষ করছি।
দারুণ এক সচেতনতামূলক ও সময়োপযোগী লেখা! 🌍
Debabrata দা, আপনি অত্যন্ত সহজ ভাষায় কিন্তু গভীর চিন্তার সাথে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন—গ্রিন হাউজ এফেক্ট শুধুই কোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব নয়, এটি আমাদের প্রতিদিনের জীবন ও ভবিষ্যতের অস্তিত্বের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
CO2 বৃদ্ধির তথ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, এবং বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য সম্ভাব্য বিপদের চিত্র খুবই বাস্তব ও উদ্বেগজনক। এই লেখাটি শুধু পড়ার জন্য নয়—এটি ভাবার, বোঝার, আর কর্মে নামার ডাক।
বন্ধুরা, আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু করার আছে—বনায়ন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো, সচেতনতা ছড়ানো—এসব এখন আর বিকল্প নয়, বরং দায়িত্ব।
Debabrata দা, এইভাবে লিখে যান। আমরা পাশে আছি। ✊🌱
অস্তিত্ব সংকটে যে আছি, এটা জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে তাকালেই আমরা বুঝতে পারি। লেখক তার সুচিন্তিত লেখনি’র দ মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন আমাদেরও অনেক কিছু করণীয় আছে। যেমন, নদীর ধারে বনায়ন সৃষ্টি করা, জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার কম করা ইত্যাদি। এ সমস্ত কাজগুলি আমরা যদি করতে পারি বা এগিয়ে আসি তাহলে লেখকের লেখার বাস্তবতা অবশ্যই ফুটে উঠবে। ধন্যবাদ ব্লগার কে।