প্রিয় পাঠক, শুভেচ্ছা!
আজ তিনটি ছিল শুক্রবার,২৩ মে ২০২৫। গত কয়দিন আগে, স্কুল ও কলেজ জীবনের বন্ধুদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম, এই দিনটিতে আমরা বাংলাদেশ,ফরিদপুর জেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দানবীর ঈশান বাবু’র বাড়িতে দিনব্যাপী ভ্রমণ করব এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করব। সেই সাথে আমার পাঠকদের এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করব। সকাল দশটায় আমরা যাত্রা শুরু করলাম । ফরিদপুর শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে জমিদার ইশান বাবু’র বাড়ি । সেখানে আমাদের বন্ধু, গোবিন্দ বাগচী আমাদের অব্যর্থনায় ছিলেন। প্রায় ৩২+ বন্ধুদের নিয়ে দিনব্যাপী আড্ডা, গল্প, গান এবং ঈশান বাবু’র সম্পর্কে তার নাতি’র স্মৃতিচারণ শুনতে পেলাম।
জানতে পারলাম :- ঈশান বাবু এতই বেশি দানবীর ছিলেন যে, ফরিদপুর শহরে তার নিজ নামীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈশান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় বিশ একর জমি দান করেছেন এবং অম্বিকাপুর ঈশান মেমোরিয়াল হল, যা ফরিদপুরের সদরের চৌরঙ্গীর মোরে তৈরি করে গিয়েছেন। এছাড়াও অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে জমি দান করে গিয়েছেন। আমরা বন্ধুরা মিলে এই দানবীর সম্পর্কে জানতে পারলাম এবং তার ঐতিহ্যবাহী বাড়ি পরিদর্শন করলাম। সেই সাথে তাদের উত্তরসূরী সকলের সাথে করমর্দন শেষে স্মৃতি হিসেবে বেশ কয়েকটি ছবি তুললাম,যা তোমাদের জন্য শেয়ার করলাম।
বন্ধুরা, তোমরা যদি ফরিদপুর শহরে আসো এবং ঈশান গোপালপুরে,র জমিদার বাড়িতে ভ্রমণ করতে যাও, তাহলে আমার বিশ্বাস- তুমি হয়তো সারাদিনই সেখানে কাটাতে পারবে এবং শিক্ষনীয় অনেক কিছুই অর্জন করতে পারবে। তাহলে, আর দেরি কেন? ভ্রমণের বিষয়টি শেয়ার করা হলো, যাতে আমার বন্ধুরা অনুপ্রাণিত হয়। তোমাদের মতামতের আশায় থাকলাম। ধন্যবাদ।








ধন্যবাদ, তপন! তোমার লেখা পড়ে মনটা যেন একদম জায়গায় চলে গেলো। ঈশান বাবুর দানবীর জীবনের এত সুন্দর বর্ণনা দেয়াটা অসাধারণ! ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ির পরিবেশ এবং সেখানকার ইতিহাস জানার পর মনে হলো, এরকম অভিজ্ঞতা সবার একবার হলেও হওয়া উচিত। বিশেষ করে বন্ধুরা একসাথে যেয়ে সেই সময়গুলো উপভোগ করার কথাও বলছো, সেটা আরো একদম মজার। এমন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা তো অনেকের জন্যই অনুপ্রেরণার হবে। আমি তো ভাবছি, কখনো ফরিদপুর গিয়ে সেই জায়গায় আমারও যাওয়া উচিত। তোমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, তপন! আরও এমন গল্প শেয়ার করবে, আশা রাখি।
সুন্দর এবং সাবলীল উপস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ।এ ভাবেই লিখে যাও-অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
বন্ধু তপনকে অশেষ ধন্যবাদ অত্যন্ত সাবলীলভাবে তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা করার জন্য। জমিদার ঈশান বাবু সমাজের জন্য অনেক মহৎ কিছুু করে গেছেন যা সামাজিক উন্নয়নে অদ্যাবধি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমরা এত বড় কিছু করতে না পারলেও ছোটখাটো কিছুুতো করতে পারি যা সমাজ তথা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।আসুন আমরা সবাই সেই চেষ্টা করি।বন্ধু তপনকে জানাই আর একবার ধন্যবাদ।
তপন অনেক ধন্যবাদ এমন ভ্রমণের কথা শেয়ার করার জন্য